কাউকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
কাউকে অন্যায়ভাবে বা বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, গত ২৮ নভেম্বর বিএনপির সমাবেশে উচ্চ প্রযুক্তির ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানো হয়েছিল। সেখানে কারা কাকে পিটিয়েছে, সবকিছু ক্যামেরায় রেকর্ড রয়েছে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ২৮ নভেম্বর বিএনপির সমাবেশে কতজন লোক উপস্থিত ছিল, তা বের করা হয়েছে। হামলায় কারা কারা জড়িত ছিল তাও ক্যামেরা থেকে খুঁজে বের করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত বা শনাক্ত করেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।
২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোটের আমলে ব্যাপক খুন-গুম ছিল দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এখন খুন-গুম সচরাচর দেখা যাচ্ছে না। বাংলাদেশ এখন শান্তিপূর্ণ দেশ। এখানে সন্ত্রাসী, জঙ্গি, চরমপন্থি, বনদস্যু, জলদস্যু ক্রমান্বয়ে সারেন্ডার করেছে। এগুলো বিদায় নিয়েছে।
অবৈধভাবে বিরোধীদলকে গ্রেপ্তার করে গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন করছে সরকার—বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গত দুই বছর ধরে বিএনপি-জামায়াত কিংবা অন্য দল, যত ধরনের প্রোগ্রাম করতে চেয়েছে, আমরা কোনোটাতেই বাধা দেইনি। তারা মানববন্ধন, মিছিল, লংমার্চ, অবরোধ, ধর্মঘট করেছে। আমরা কোনোটিতেই বাধা দেইনি। গত ২৮ অক্টোবরও আমরা বাধা দেইনি।’
হেফাজতে ইসলাম ঢাকায় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে—এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের যদি আপত্তি থাকে, তবে তারা করতে পারবে না। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীরও বিষয়টি দেখার রয়েছে।’
পুলিশের প্রতি কোনো নির্দেশনা আছে কিনা তা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এই মুহূর্তে পুলিশের প্রতি আমাদের কোনো নির্দেশনা নেই। নির্বাচন কমিশন যে নির্দেশনা দিচ্ছে সেটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন যেভাবে চাচ্ছে, আমাদের পুলিশ সেভাবেই কাজ করছে।’